বাংলাদেশ প্রতিদিন , ১৮-০৫-১৫ সংখ্যায় ১ম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে ” ল্যাপটপ নিয়েও বাণিজ্য ” শিরোনামে একটি সংবাদ। এতে বলা হয়েছে , ল্যাপটপেও কমিশন বাণিজ্য করেছেন “ একটি বাড়ি একটি খামার “ প্রকল্পের পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ডঃ প্রশান্ত কুমার রায। প্রকল্পের মাঠ কর্মীদের দিযে বাধ্যতামূলক ল্যাপটপ কিনিয়েছেন তিনি যার আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল না। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট দোকান থেকে ল্যাপটপ কিনতে বাধ্য করে মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন হিসেবে আত্মসাৎ করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ....... প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়কে শো-কজ করেছে স্থানীয় সরকার , পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান বিপেন চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত .... শো-কজে ... ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ................ এখন প্রশ্ন হলো , সহকারী প্রধান বিপেন চন্দ্র বিশ্বাস তাঁর নিজের পদমর্যাদার ৪ স্তর উপরের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়কে শো-কজ করার পত্রে স্বাক্ষর করেন কি করে ? যদিও মন্ত্রণালয়ের পত্রে “ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ” কথাটি একটি গৎবাঁধা কথা হিসাবে লেখা থাকে তবুও এই ক্ষেত্রে অভিযুক্ত কর্মকর্তার পদমর্যাদার উপরের স্তরের কোন কর্মকতার ( এই ক্ষেত্রে সচিবের ) স্বাক্ষর আবশ্যক ছিল এবং তা সৌজন্যমূলক হতো । তা ছাড়া সচিবের স্বাক্ষরে এই অভিযোগটি প্রেরণ করা হলে অভিযোগটির গুরুত্ব অনেক বেশি হতো। এতে বুঝা যায় যে , সচিবের যে ঔদাসীন্যে এই দুর্নীতি হয়েছে তাঁর একই ধরনের ঔদাসীন্যে তিনি এই অভিযোগটিও গোড়াতেই দুর্বল করে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এতে এই অভিযোগটির ওজন স্বাভাবিকভাবেই অনেক কমে গেছে। ভবিষতে দেখা যাবে এ অভিযোগের কোন কিছুই প্রমাণ হবে না। প্রশান্ত কুমারেরও কোন ক্ষতি হবে না। ফলে এ ধরণের দুর্নীতি / লুটপাট চলতেই থাকবে। তাই প্রশাসনে অনেক গুণগত পরিবর্তন দরকার।
Monday, May 18, 2015
Sunday, May 10, 2015
আমাদের ঔপনিবেশিক মন-মানসিকতা
বৃটিশ ঔপনিবেশিক আমলে এদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , রাস্তা , ব্রীজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হতো বৃটিশ রাজন্যবর্গ , পাদ্রী , বৃটিশ কোন স্মারক ঘটনা বা সে দেশের অন্যান্য ব্যক্তির নামে। যেমন ভিক্টোরিয়া কলেজ , কারমাইকেল কলেজ , সেন্ট গ্রেগরী স্কুল , কার্জন হল , এডোয়ার্ড কলেজ , জুবিলি রোড , মিন্টো রোড , নর্থব্রুক হল রোড , ডাফরিন হোস্টেল , কীনস্ ব্রীজ , হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ইত্যাদি । এখন অর্থাৎ বৃটিশ শাসনের ৬০ / ৬৫ বছর পরও আমরা এদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম রাখছি কিংস কলেজ, কুইন মেরি কলেজ, রয়েল কলেজ (রাজকীয় কলেজ) , ইম্পেরিয়েল কলেজ ( সাম্রাজ্যবাদী কলেজ ) , কুইনস্ ইউনিভার্সিটি , অক্সব্রিজ কলেজ , ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি , স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি। এ ছাড়া বিভিন্ন পাদ্রীর নামে অর্থাৎ সেন্ট ( সন্ত / সাধু ) নামে অনেক কেজি স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্টানের নামকরন করা হচ্ছে। এর দ্বারা কি প্রমাণিত হয় না যে আমরা এখনও বৃটিশ ঔপনিবেশিক যুগের মন-মানসিকতা ত্যাগ করতে পারি নাই ? শিক্ষা মন্ত্রণালয় / মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে যাঁরা এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেন তাঁরাও কি ঐ ঔপনিবেশিক মন-মানসিকতা লালন করেন ? তা ছাড়া রয়েল ( রাজকীয় ) , ইম্পেরিয়াল ( সাম্রাজ্যবাদী ) ইত্যাদি সম্পূর্ণ আপত্তিকর ও অসম্মানজনক শব্দ কি করে ব্যবহার হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণে ? এদেশে তো কোন রাজা নেই। তাহলে রয়েল বা রাজকীয় শব্দ ব্যবহার করা হয় কোন্ যৌক্তিকতায় ? তা ছাড়া ইম্পেরিয়াল , মানে সাম্রাজ্যবাদী শব্দটি কোন শিক্ষিত লোক আদৌ ব্যবহার করতে পারেন কি ? আমাদের এত জাঁদরেল উচ্চশিক্ষিত জনেরা , মহা পন্ডিতেরা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ?
Saturday, May 9, 2015
তিন বাঙালী কন্যা বৃটেনের নির্বাচিত এমপি
বৃটিশ পার্লামেন্টে তিন বাঙালী কন্যার নির্বাচিত হওয়ায় তাঁদের অভিনন্দন। এঁরা বিরোধী দলের অর্থাৎ লেবার পার্টির হলেও পার্লামেন্টে দাবি উত্থাপন করে বিতর্কে অংশ নিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে পারবেন। পলাতক আসামী তারেককে বৃটেন থেকে বহিষ্কার , বুদ্ধিজীবী হত্যার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর ইত্যাদি বিষয়ে পার্লামেন্টে দাবি উত্থাপন , বিতর্কে অংশগ্রহণ ইত্যাদি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে অবশ্যই পার্লামেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারকে এদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। ........................ তবে এদের নিয়মিত পার্লামেন্টের কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সেখানে রয়েছে সিটের স্বল্পতা। আমি একবার বৃটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন কক্ষে ঢুকেছিলাম। দেখলাম পুরনো দিনের লম্বা সোফায় বসার সিট সংখ্যা বেশ কম। আমাদের জানানো হলো সাড়ে ছ’শ এমপি এর জন্য বৃটিশ পার্লামেন্টের হা্উস অফ কমন্স এর সেই মান্ধাতা আমলের ঐতিহ্যবাহী অধিবেশন কক্ষটিতে রয়েছে ৪৩০ টি সিটের আয়োজন। সব এমপি নাকি এক সাথে অধিবেশনে আসেন না। তাই এই ব্যবস্থা।
Wednesday, May 6, 2015
আমরা বৃটিশ আমলের ঐতিহ্য এখনও লালন করছি
ইংরেজী Saint শব্দ বাংলায় হয়ে গেছে সন্ত অর্থাৎ সাধু। বৃটিশ আমলে শিক্ষা প্রদানের সাথে খৃস্ট ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে যেসব শিক্ষা প্রতিস্ঠান তৈরি হয় সেগুলির নাম ছিল Saint দিয়ে। যেমন Saint Gregory's School , Saint Francis' School ইত্যাদি । কিন্তু আজ এদেশে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে Saint নাম দিয়ে। এসব কেন হচ্ছে। এ ছাড়া এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের গলায় টাই পরিয়ে কি শেখানো হচ্ছে ?
Subscribe to:
Posts (Atom)