Monday, May 18, 2015

হাস্যকর শো-কজ

বাংলাদেশ প্রতিদিন , ১৮-০৫-১৫ সংখ্যায় ১ম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে ” ল্যাপটপ নিয়েও বাণিজ্য ” শিরোনামে একটি সংবাদ। এতে বলা হয়েছে , ল্যাপটপেও কমিশন বাণিজ্য করেছেন “ একটি বাড়ি একটি খামার “ প্রকল্পের পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ডঃ প্রশান্ত কুমার রায। প্রকল্পের মাঠ কর্মীদের দিযে বাধ্যতামূলক ল্যাপটপ কিনিয়েছেন তিনি যার আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল না। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট দোকান থেকে ল্যাপটপ কিনতে বাধ্য করে মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন হিসেবে আত্মসাৎ করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ....... প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়কে শো-কজ করেছে স্থানীয় সরকার , পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান বিপেন চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত .... শো-কজে ... ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ................  এখন প্রশ্ন হলো , সহকারী প্রধান বিপেন চন্দ্র বিশ্বাস তাঁর নিজের পদমর্যাদার ৪ স্তর উপরের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়কে শো-কজ করার পত্রে স্বাক্ষর করেন কি করে ? যদিও মন্ত্রণালয়ের পত্রে “ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ” কথাটি একটি গৎবাঁধা কথা হিসাবে লেখা থাকে তবুও এই ক্ষেত্রে অভিযুক্ত কর্মকর্তার পদমর্যাদার উপরের স্তরের কোন কর্মকতার ( এই ক্ষেত্রে সচিবের ) স্বাক্ষর আবশ্যক ছিল এবং তা সৌজন্যমূলক হতো । তা ছাড়া সচিবের স্বাক্ষরে এই অভিযোগটি প্রেরণ করা হলে অভিযোগটির গুরুত্ব অনেক বেশি হতো। এতে বুঝা যায় যে , সচিবের যে ঔদাসীন্যে এই দুর্নীতি হয়েছে তাঁর একই ধরনের ঔদাসীন্যে তিনি এই অভিযোগটিও গোড়াতেই দুর্বল করে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এতে এই অভিযোগটির ওজন স্বাভাবিকভাবেই অনেক কমে গেছে। ভবিষতে দেখা যাবে এ অভিযোগের কোন কিছুই প্রমাণ হবে না। প্রশান্ত কুমারেরও কোন ক্ষতি হবে না। ফলে এ ধরণের  দুর্নীতি / লুটপাট চলতেই থাকবে। তাই প্রশাসনে অনেক গুণগত পরিবর্তন দরকার।

No comments:

Post a Comment