সরকারি চাকুরির প্রথম দিকে ১৯৭৮ এ আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেকশান অফিসার ছিলাম। তখন একদিন একটা নথি পেলাম যাতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের জন্য পাঁচ হাজার টাকার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। পল্লী চিকিৎসক প্রকল্পের ১ম কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয় ধামরাই থানায়। ঐ উদ্বোধনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আমি দেখলাম যে , প্রকল্পে উদ্বোধনের জন্য কোন ব্যয় ধরা নাই। তাই আমি নোটে লিখলাম যে , যেহেতু প্রকল্পে উদ্বোধন খাতে কোন ব্যয় প্রাক্কলিত নাই সুতরাং এই খাতে কোন ব্যয় করা যাবে না। তাই এই প্রস্তাবিত পাঁচ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমতি দেয়া যাবে না। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক উদ্বোধনের গুরুত্ব অনুধাবন করে এই ব্যয়ে এমন নেতিবাচক প্রস্তাব না দেয়ার জন্য আমাকে কেউ কেউ বলেছিলেন। আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। আমার তখন বয়স কম। নীতি ও আদর্শের সপক্ষে শক্ত অবস্থান নিতাম। আমি ভয় পাই নাই। পাঁচ হাজার টাকার অনুমোদন আর হয় নাই। এতে অবশ্য কেউ আমার চাকুরির কোন ক্ষতিও করেনি। আজও এসব অপ্রয়োজনীয় সরকারি অপব্যয়ের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের শক্ত অবস্থান নেয়া প্রয়োজন। তাহলে এ গরিব দেশটার অনেক টাকা সাশ্রয় হবে।
Friday, September 11, 2015
Sunday, August 23, 2015
ইন্সুরেন্সের দালালদের আচরণবিধি দরকার
ইন্সুরেন্স কোম্পানীগুলোর দালালরা অফিসে কর্মরত অফিসার ও কর্মচারীদের বিরক্ত করেন ও তাঁদের কাজের ক্ষতি করেন । অফিসার ও কর্মচারীদের একটা করে ইন্সুরেন্স পলিসি করিয়ে নেয়ার জন্য দালালদের এই প্রচেষ্টা। এতে যে অফিসার ও কর্মচারীদের কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং পরিণামে সরকারের ও দেশের বিপুল ক্ষতি হয় তা এসব দালাল ও ইন্সুরেন্স কোম্পানীগুলো বুঝতে চায় না। তাই ইন্সুরেন্স কোম্পানীগুলোর উচিত তাদের দালালরা যাতে দেশের এরুপ ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য দালালদের একটা Code of Conduct প্রণয়ন করা এবং তা অনুসরণ করার জন্য দালালদের উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা। এরুপ Code of Conduct এ সরকারী অফিস আদালতে অফিস চলাকালীন সময়ে ইন্সুরেন্সের দালালদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। সরকারও এ বিষয়টি মনিটর করবে এবং অফিস চলাকালীন সময়ে অফিস আদালতে ইন্সুরেন্সের দালালরা যাতে প্রবেশ করতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে।
Wednesday, August 12, 2015
ফুটপাথ জবরদখল ও আকৃতি পরিবর্তন
Tuesday, August 11, 2015
“পান্টার মলম” বিক্রি
Saturday, August 8, 2015
পোড়া সিগারেট রাস্তার প্রধান আবর্জনা
রাজধানী নগরী ঢাকা সহ দেশের সকল নগর , শহর , বন্দর ,হাটবাজারে রাস্তায় , ফুটপাথে , পার্কে , অফিস আদালতের আঙিনায় / প্রবেশপথে / সিঁড়িতে / বারান্দায় / কক্ষের ভিতরে , টয়লেটে ও এখানে সেখানে পড়ে থাকা পোড়া সিগারেটই প্রধান আবর্জনা । আপনি একটু খেয়াল করে দেখুন এসব স্থানে যত ময়লা ও আবর্জনা জমে আছে তার অর্ধেকের বেশিই পোড়া সিগারেট অথবা দেশলাইয়ের পোড়া কাঠি অথবা সিগারেটের / দেশরাইয়ের খালি প্যাকেট । উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করে আইন করা হয়েছে। কিন্তু এ আইনের প্রয়োগ নাই । কাজেই এ আইনে শাস্তির বিধান বৃদ্ধি করে জোরলোভাবে তা প্রযোগ করা হোক।
Thursday, August 6, 2015
হিজড়াদের চাঁদাবাজি
হিজড়ারা রাস্তাঘাটে মানুষকে টানাহেঁচড়া করে চাঁদাবাজি করে। তারা দোকানপাট ও বাসাবাড়িতেও হানা দেয় এবং এভাবে এক নৈরাজ্য ও অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে। মানুষ মান-সম্মান রক্ষায় এদের চাঁদা দিতে বাধ্য হয়। পুলিশ হিজড়াদের কিছু বলে না। উল্টো পুলিশ এদের কিছু দিয়ে দেয়ার জন্য সুপারিশ করে। হিজড়াদের কি জমিদারী কায়েম হয়ে গেছে যে , তারা কাজ করবে না , শুধু চাঁদাবাজি করবে ? তারা গর্মেন্টসে কাজ করতে পারে। জামদানী ইত্যাদি শিল্পে এরা কাপড়ে ডিজাইন তোলার কাজ করতে পারে। বাঁশ বেতের কাজ , মোড়া তৈরির কাজ , আসবাবপত্র শিল্পে কাজ , পাদুকা শিল্পের কাজ ইত্যাদি হেন কাজ নেই যা তারা করতে পারে না। সরকার এ ব্যাপারে তাদের সহায়তা করতে পারে। প্রয়োজনে এদের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে এদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে পারে। সরকার কোটিপতিদের সরকারী খালের উপর আলিশান ভবন বানাতে অনুমতি দিতে পারে , আর ছিন্নমূল হিজড়াদের পুনর্বাসন করে এদের কর্মমুখী পেশা গ্রহণ করতে সহায়তা দিতে পারে না ? সরকার কি শুধু ব্যবসায়ী-বান্ধব আর শিল্পপতি-বান্ধব ? সরকার কি হিজড়া-বান্ধব হতে পারে না ?
Tuesday, August 4, 2015
ফুটপাথ জবরদখলে পুলিশের ভূমিকা
ঢাকা মহানগরীতে এখন আর ফুটপাথে হাঁটা যায় না। প্রায় সব ফুটপাথ হকারে বা ফকিরে দখল করে আছে। ইদানীং জ্বলন্ত চুলায় ভাজাভুজি করার ব্যবস্থা সহ তেলেভাজা বিভিন্ন খাবারের ফুটপাথের দোকানে পেঁয়াজু , সিঙাড়া , পুরি ইত্যাদিও অবাধে পাওয়া যাচ্ছে। মোটর সাইকেল চালকেরা তো ফুটপাথে যেন পূর্ণ অধিকার সহ স্বাভাবিকভবেই মোটর সাইকেল হাঁকাচ্ছে। অথচ বছর দুয়েক আগে সুপ্রীম কোর্টে একটা রীট মামলায় নির্দেশনা দেয়া আছে যে ফুটপাথে মোটর সাইকেল চালানো যাবে না। তাই ফুটপাথে মোটর সাইকেল চালালে উক্ত নির্দেশনা মোতাবেক অপরাধযোগ্য বেআইনী কাজ করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। সেজন্য যথার্থ শাস্তি প্রযোজ্য। পুলিশ বেআইনী কাজ রোধ করার জন্য রাস্তায় কর্তব্য পালন করে। তারা বেআইনী কাজ বন্ধ করবে। কিন্তু পুলিশ তা তো করেই না বরং ফুটপাথ জবরদখলকারী দোকানদারদের ও হকারদের সাথে প্রকাশ্যেই হাসি ঠাট্টা করে , মস্করা করে। আমরা নাকি নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে তালিকাভুক্ত হয়ে গেছি , তাই আনন্দে বগল বাজাই। অথচ এই ঢাকা ও অন্যান্য শহরে আমরা ফুটপাথে হাঁটতে পারি না , রাস্তায় যানজটে নাকাল হই। রাস্তাঘাট , খালবিল , নদী , হাটবাজার , কবরস্থান , ওয়াকফ / দেবোত্তর সম্পত্তি , খাস জমি , পার্ক , খেলার মাঠ , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গা জমি , হাসপাতালের জমি ইত্যাদি সব জবরদখল হয়ে যাচ্ছে প্রধানত পুলিশের সহায়তায় । তাই প্রশ্ন হচ্ছে , পুলিশ কি আইনের ঊর্ধে ?
Wednesday, July 15, 2015
বিচার নিজের হাতে তুলে নেয়া
বিচার নিজের হাতে তুলে নেয়া যে ঠিক নয় একথা আর একবার প্রমাণিত হলো । যারা রাজনকে নিরেট সন্দেহের বশে চোর সাব্যস্ত করে মারতে মারতে একেবারে মেরেই ফেললো তাদের বিচারিক মন ও মানসিকতা ছিল না। সাক্ষ্য ও প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও কাউকে প্রহার করা যে ঠিক নয় এবং মারাত্মক আঘাত করা মোটেই ঠিক নয় তা আবার প্রমাণিত হলো । এই হত্যাকারীদের সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
Tuesday, June 16, 2015
কুলদীপ নায়ার এক বেয়াদব সাংবাদিক
বাংলাদেশ প্রতিদিন দৈনিকে আজ ( ১৬-৬-১৫ , ১ম- ২য় পৃষ্ঠায় ) কুলদীপ নায়ার লিখেছেন , শেখ হাসিনার ইমেজ উদ্ধারেই ঢাকায় এসেছিলেন মোদি। তিনি শেখ হাসিনার শাসনকে সমালোচনা করেছেন। বলেছেন , “ .......... বলা যায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সিটি নির্বাচনের কথা। ভোটার ও সংশ্লিষ্টদের আতঙ্কের মধ্যে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। শেখ মুজিব নিশ্চয়ই তার কবরের মধ্যে ঘুরে বসেছেন। “ নির্বচনে আওয়ামী লীগের দোষের কথা বলতে যেয়ে এই অথর্ব দাম্ভিক বার্ধক্যজরা-জর্জরিত সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে একটু খোঁচা মেরেছেন। বঙ্গবন্ধুর নখের একটু কোণের সমান হলেও তিনি তা করতেন না। বঙ্গবন্ধুর বিশাল জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তিত্বে ঈর্ষান্বিত হয়ে তিনি তাঁর মৃত্যুর ৪০ বছর পরও তাঁকে খোঁচা মারার দাম্ভিকতা প্রদর্শনের ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন। এই সাংবাদিকের এহেন বালখিল্যতার জন্য তাকে ধিক্কার জানাই। এই লোক নাকি নিজেকে হলিডে পত্রিকার আর এক সাংবাদিক এনায়েতুল্লা খানের বন্ধু বলে উল্রেখ করতেন। এনায়েতুল্লা খান আর এক পাকি-আইএসআই-চৈনিক এজেন্ট ছিলেন এবং স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু-সরকারকে নাজেহাল করার জন্য হঠকারী জাসদ , মুসলিম লীগ , রাজাকারদের মতোই এক কাতারে সমভাবে সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছিলেন। কুলদীপের এই হঠকারী মন্তব্যে প্রমাণিত হয় এ বৃদ্ধ এখনও বিদেশী এজেন্ট হিসাবে দূরে বসে পাকি-আইএসআই-চৈনিক এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি এহেন ন্যাক্কারজনক উক্তির জন্য এই বেয়াদব কুলদীপকে ধিক্কার জানাই।
Sunday, June 14, 2015
সরকারী দলের জবরদখল
ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে , ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন যেমন , ছাত্রলীগ , যুবলীগ , স্বেচ্ছাসেবক লীগ ইত্যাদি রাস্তার পাশে , ফুটপাথে , রাস্তার মোড়ে বা বিভিন্ন সরকারী জমির উপর রাতের অন্ধকারে বা হঠাৎ ঘর তুলে নিজেদের আড্ডাস্থান বা দলীয় কার্যালয হিসাবে ব্যবহার করছে। অতীতে সব সরকারী দল তাই করেছিল। তবে এখন জনগণ আওয়ামী লীগের কাছে ভাল কিছু , উন্নততর কিছু আচরণ আশা করে। দলীয় নেতৃবৃন্দ নিজেদের দলের এসব জবরদখলকারীদের দখলবাজী বন্ধ করার সপক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন যাতে জনগণ আরও বহু বছর আওয়ামী লীগের উপর আস্থা রাখতে পারে। এসব কিছু জবরদখলকারীর অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ কেন নেবে ?
Wednesday, June 3, 2015
Monday, May 18, 2015
হাস্যকর শো-কজ
বাংলাদেশ প্রতিদিন , ১৮-০৫-১৫ সংখ্যায় ১ম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে ” ল্যাপটপ নিয়েও বাণিজ্য ” শিরোনামে একটি সংবাদ। এতে বলা হয়েছে , ল্যাপটপেও কমিশন বাণিজ্য করেছেন “ একটি বাড়ি একটি খামার “ প্রকল্পের পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ডঃ প্রশান্ত কুমার রায। প্রকল্পের মাঠ কর্মীদের দিযে বাধ্যতামূলক ল্যাপটপ কিনিয়েছেন তিনি যার আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল না। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট দোকান থেকে ল্যাপটপ কিনতে বাধ্য করে মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন হিসেবে আত্মসাৎ করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ....... প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়কে শো-কজ করেছে স্থানীয় সরকার , পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান বিপেন চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত .... শো-কজে ... ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ................ এখন প্রশ্ন হলো , সহকারী প্রধান বিপেন চন্দ্র বিশ্বাস তাঁর নিজের পদমর্যাদার ৪ স্তর উপরের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়কে শো-কজ করার পত্রে স্বাক্ষর করেন কি করে ? যদিও মন্ত্রণালয়ের পত্রে “ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ” কথাটি একটি গৎবাঁধা কথা হিসাবে লেখা থাকে তবুও এই ক্ষেত্রে অভিযুক্ত কর্মকর্তার পদমর্যাদার উপরের স্তরের কোন কর্মকতার ( এই ক্ষেত্রে সচিবের ) স্বাক্ষর আবশ্যক ছিল এবং তা সৌজন্যমূলক হতো । তা ছাড়া সচিবের স্বাক্ষরে এই অভিযোগটি প্রেরণ করা হলে অভিযোগটির গুরুত্ব অনেক বেশি হতো। এতে বুঝা যায় যে , সচিবের যে ঔদাসীন্যে এই দুর্নীতি হয়েছে তাঁর একই ধরনের ঔদাসীন্যে তিনি এই অভিযোগটিও গোড়াতেই দুর্বল করে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এতে এই অভিযোগটির ওজন স্বাভাবিকভাবেই অনেক কমে গেছে। ভবিষতে দেখা যাবে এ অভিযোগের কোন কিছুই প্রমাণ হবে না। প্রশান্ত কুমারেরও কোন ক্ষতি হবে না। ফলে এ ধরণের দুর্নীতি / লুটপাট চলতেই থাকবে। তাই প্রশাসনে অনেক গুণগত পরিবর্তন দরকার।
Sunday, May 10, 2015
আমাদের ঔপনিবেশিক মন-মানসিকতা
বৃটিশ ঔপনিবেশিক আমলে এদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , রাস্তা , ব্রীজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হতো বৃটিশ রাজন্যবর্গ , পাদ্রী , বৃটিশ কোন স্মারক ঘটনা বা সে দেশের অন্যান্য ব্যক্তির নামে। যেমন ভিক্টোরিয়া কলেজ , কারমাইকেল কলেজ , সেন্ট গ্রেগরী স্কুল , কার্জন হল , এডোয়ার্ড কলেজ , জুবিলি রোড , মিন্টো রোড , নর্থব্রুক হল রোড , ডাফরিন হোস্টেল , কীনস্ ব্রীজ , হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ইত্যাদি । এখন অর্থাৎ বৃটিশ শাসনের ৬০ / ৬৫ বছর পরও আমরা এদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম রাখছি কিংস কলেজ, কুইন মেরি কলেজ, রয়েল কলেজ (রাজকীয় কলেজ) , ইম্পেরিয়েল কলেজ ( সাম্রাজ্যবাদী কলেজ ) , কুইনস্ ইউনিভার্সিটি , অক্সব্রিজ কলেজ , ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি , স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি। এ ছাড়া বিভিন্ন পাদ্রীর নামে অর্থাৎ সেন্ট ( সন্ত / সাধু ) নামে অনেক কেজি স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্টানের নামকরন করা হচ্ছে। এর দ্বারা কি প্রমাণিত হয় না যে আমরা এখনও বৃটিশ ঔপনিবেশিক যুগের মন-মানসিকতা ত্যাগ করতে পারি নাই ? শিক্ষা মন্ত্রণালয় / মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে যাঁরা এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেন তাঁরাও কি ঐ ঔপনিবেশিক মন-মানসিকতা লালন করেন ? তা ছাড়া রয়েল ( রাজকীয় ) , ইম্পেরিয়াল ( সাম্রাজ্যবাদী ) ইত্যাদি সম্পূর্ণ আপত্তিকর ও অসম্মানজনক শব্দ কি করে ব্যবহার হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণে ? এদেশে তো কোন রাজা নেই। তাহলে রয়েল বা রাজকীয় শব্দ ব্যবহার করা হয় কোন্ যৌক্তিকতায় ? তা ছাড়া ইম্পেরিয়াল , মানে সাম্রাজ্যবাদী শব্দটি কোন শিক্ষিত লোক আদৌ ব্যবহার করতে পারেন কি ? আমাদের এত জাঁদরেল উচ্চশিক্ষিত জনেরা , মহা পন্ডিতেরা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ?
Saturday, May 9, 2015
তিন বাঙালী কন্যা বৃটেনের নির্বাচিত এমপি
বৃটিশ পার্লামেন্টে তিন বাঙালী কন্যার নির্বাচিত হওয়ায় তাঁদের অভিনন্দন। এঁরা বিরোধী দলের অর্থাৎ লেবার পার্টির হলেও পার্লামেন্টে দাবি উত্থাপন করে বিতর্কে অংশ নিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে পারবেন। পলাতক আসামী তারেককে বৃটেন থেকে বহিষ্কার , বুদ্ধিজীবী হত্যার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর ইত্যাদি বিষয়ে পার্লামেন্টে দাবি উত্থাপন , বিতর্কে অংশগ্রহণ ইত্যাদি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে অবশ্যই পার্লামেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারকে এদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। ........................ তবে এদের নিয়মিত পার্লামেন্টের কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সেখানে রয়েছে সিটের স্বল্পতা। আমি একবার বৃটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন কক্ষে ঢুকেছিলাম। দেখলাম পুরনো দিনের লম্বা সোফায় বসার সিট সংখ্যা বেশ কম। আমাদের জানানো হলো সাড়ে ছ’শ এমপি এর জন্য বৃটিশ পার্লামেন্টের হা্উস অফ কমন্স এর সেই মান্ধাতা আমলের ঐতিহ্যবাহী অধিবেশন কক্ষটিতে রয়েছে ৪৩০ টি সিটের আয়োজন। সব এমপি নাকি এক সাথে অধিবেশনে আসেন না। তাই এই ব্যবস্থা।
Wednesday, May 6, 2015
আমরা বৃটিশ আমলের ঐতিহ্য এখনও লালন করছি
ইংরেজী Saint শব্দ বাংলায় হয়ে গেছে সন্ত অর্থাৎ সাধু। বৃটিশ আমলে শিক্ষা প্রদানের সাথে খৃস্ট ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে যেসব শিক্ষা প্রতিস্ঠান তৈরি হয় সেগুলির নাম ছিল Saint দিয়ে। যেমন Saint Gregory's School , Saint Francis' School ইত্যাদি । কিন্তু আজ এদেশে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে Saint নাম দিয়ে। এসব কেন হচ্ছে। এ ছাড়া এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের গলায় টাই পরিয়ে কি শেখানো হচ্ছে ?
Tuesday, April 28, 2015
Monday, April 27, 2015
Sunday, April 26, 2015
মাননীয় প্রধান বিচারপতির মন্তব্য থেকে
মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলেছেন , তিন লাখ মামলা রেখে বছরে ১৮৬ দিন ছুটি
নিতে পারি না। এতে দেখা যায় ১২ মাসের বছরে ছয় মাসের বেশি ছুটি। সরকারি
কর্মচারিরা বছরে ছুটি পান ৫২*২ + ৩০ দিন অর্জিত ছুটি + ১৫ দিন নৈমিত্তিক
ছুটি = ১৪৯ দিন। মুটে, মজুর , শ্রমিক , রিক্সা-শ্রমিক , কুলি , মাছ
বিক্রেতা , তরিতরকারি বিক্রেতা প্রভৃতি শ্রমজীবী মানুষ ৩৬৫ দিনের মধ্যে কোন
ছুটি ছাড়াই প্রতিদিন উপার্জন করে জীবন ধারণ করেন। কেউ ৩৬৫-১৮৬=১৭৯ দিন কাজ
করে ৩৬৫ দিনের বেতন ভাতা পান। কেউ ৩৬৫-১৪৯= ২১৬ দিন কাজ করে ৩৬৫ দিনের
বেতন ভাতা পান। কেউ ৩৬৫ দিনই কাজ করে তবে ৩৬৫ দিনের উপার্জন ভোগ করেন। একই
দেশে মানুষে মানুষে এই অপার বৈষম্য কে সৃষ্টি করেছেন ? অথচ এই দেশের
সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদেই তো লেখা আছে , সকল নাগরিকের সুযোগের সমতা বিধান
করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে। অবশ্য সংবিধান রচনাকারী জ্ঞানী ব্যক্তিগণ
সুযোগের সমতা বিধান করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে এই কথা লিখেছেন। সুযোগের
সমতা নিশ্চিত করিতে বলেন নাই। ............... বিচারের বাণী কি নীরবে
নিভৃতে এভাবেই কিয়ামত পর্যন্ত শুধু কাঁদবে ?
Tuesday, April 21, 2015
ঢাবি টিএসসি তে পহেলা বৈশাখে
পহেলা বৈশাখের ঢাবি টিএসসি চত্বরের কাছে নারী নিগ্রহের ব্যাপারে পুলিশ নাকি ভিকটিম নারীদের খুঁজে পাচ্ছে না। এ ছাড়া অপরাধীদেরও নাকি খুঁজে পাচ্ছে না। তাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে , ভিকটিম নারীর কি লজ্জাশরম নাই আর অপরাধীদের কি ভয় নাই যে তারা স্বেচ্ছায় এসে পুলিশের কাছে ধরা দেবে ? অপর পক্ষে শক্ত সাক্ষী যিনি নিজের পাঞ্জাবী খুলে বিবস্ত্র নারীর গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলেন আর আক্রমণকারীরা যার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে সেই লিটন নন্দী ( ছাত্র ইউনিয়ন , ঢাবি এর সভাপতি ) তো হাতের কাছেই আছেন। পুলিশ কি তাঁর কোন বক্তব্য নিয়েছে ? আমি কোন পত্রিকায় দেখিনি যে পুলিশ তাঁর কোন বক্তব্য নিয়েছে। যদি না নিয়ে থাকে তবে প্রশ্ন , পুলিশ লিটন নন্দীর কোন বক্তব্য নিচ্ছে না কেন ?
Monday, April 20, 2015
মামলা জট
মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলেছেন , তিন লাখ মামলা রেখে বছরে ১৮৬ দিন ছুটি
নিতে পারি না। এতে দেখা যায় ১২ মাসের বছরে ছয় মাসের বেশি ছুটি। সরকারি
কর্মচারিরা বছরে ছুটি পান ৫২*২ + ৩০ দিন অর্জিত ছুটি + ১৫ দিন নৈমিত্তিক
ছুটি = ১৪৯ দিন। মুটে, মজুর , শ্রমিক , রিক্সা-শ্রমিক , কুলি , মাছ
বিক্রেতা , তরিতরকারি বিক্রেতা প্রভৃতি শ্রমজীবী মানুষ ৩৬৫ দিনের মধ্যে কোন
ছুটি ছাড়াই প্রতিদিন উপার্জন করে জীবন ধারণ করেন। কেউ ৩৬৫-১৮৬=১৭৯ দিন কাজ
করে ৩৬৫ দিনের বেতন ভাতা পান। কেউ ৩৬৫-১৪৯= ২১৬ দিন কাজ করে ৩৬৫ দিনের
বেতন ভাতা পান। কেউ ৩৬৫ দিনই কাজ করে তবে ৩৬৫ দিনের উপার্জন ভোগ করেন। একই
দেশে মানুষে মানুষে এই অপার বৈষম্য কে সৃষ্টি করেছেন ? অথচ এই দেশের
সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদেই তো লেখা আছে , সকল নাগরিকের সুযোগের সমতা বিধান
করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে। অবশ্য সংবিধান রচনাকারী জ্ঞানী ব্যক্তিগণ
সুযোগের সমতা বিধান করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে এই কথা লিখেছেন। সুযোগের
সমতা নিশ্চিত করিতে বলেন নাই। ............... সাম্য ও বিচারের বাণী কি নীরবে
নিভৃতে এভাবেই কিয়ামত পর্যন্ত শুধু কাঁদবে ?
Friday, April 17, 2015
তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে কারো অভিযোগ করার কিছু থাকবে না। তাই তিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে কেউ কোন কারচুপি , ভোট জালিয়াতি না করুক সেটাই কাম্য। তা হলে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনও পক্ষপাতিত্বের দায়ে অভিযুক্ত হবে না। নির্বাচন পরিচালনার ব্যাপারে সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের উপর কোন অনাস্থা বিরোধী পক্ষ দিতে পারবে না। এটা সরকারের জন্যও ইতিবাচক হবে।
Thursday, April 16, 2015
ঢাবি টিএসসি চত্ত্বর কি নির্যাতনকেন্দ্র ?
ঢাবি টিএসসি কি একটি মৃত্যুপুরী ও নির্যাতনকেন্দ্র ? এখানে কি বাছাই করা সব অথর্ব পুলিশদের ডিউটিতে রাখা হয় ? এসব বাছাই করা অথর্ব পুলিশদের এখানে পাহারার দায়িত্বে রাখা কি উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের কোন পূর্ব পরিকল্পনার অংশ ? এ ব্যাপারে সিনিয়ার পুলিশ কর্মকর্তাদের দায় দায়িত্ব জরুরি ভিত্তিতে নির্ধারণ কি অত্যাবশ্যক নয় ?
Friday, March 27, 2015
মুক্তিযুদ্ধকালে পিরোজপুরের ভাগীরথিকে পাকি হানাদাররা দুই পা দুদিকে দুটি জীপের সাথে বেঁধে দুটি জীপ “ চালিয়ে দিল উল্টো দিকে। দু’ টুকরো হয়ে গেল ভাগীরথি “ ---- ( দৈঃ জনকণ্ঠ , ২৭-৩-১৫ , পৃষ্ঠা- ২২ ) । এমন আরও কত বীভৎষ ঘটনা ঘটেছিল। তারপরও কী করে পিরোজপুরের লোকেরা রাজাকার সাইদীর উত্থান মেনে নিয়েছিল ? তারপরও কি এদেশে পাকি হানাদারদের দোসর রাজাকার , জামাত-শিবির , হুজি , জেএমবি , তাহরির ইত্যাদি আজও টিকে থাকতে পারে ?
Monday, January 26, 2015
টিআইবি
টিআইবি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা । এর কর্তারা বাংলাদেশের রাজনীতির উপর কথা
বলছেন কোন্ অধিকারে ? টিআইবি কি তাহলে মুখোশে ঢাকা এদেশের একটি রাজনৈতিক
দলের নাম ?
Thursday, January 1, 2015
Subscribe to:
Posts (Atom)